আত্মহত্যা সমস্যার সমাধান নয় : আনন্দবাজার পত্রিকায় জনপ্রিয় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছিল। সাক্ষাৎকারের একটি তিনি জায়গায় উল্লেখ করেছিলেন, গভীর একটা অবসাদ। বয়স তখন আটাশ-উনত্রিশ। মনে হচ্ছিল সব শেষ। এই দীর্ঘ অবসাদ এমন জায়গায় নিয়ে গেল যে আমি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু তিনি বের হয়ে আসতে পেরেছিলেন তার এমন সিদ্ধান্ত থেকে। পরবর্তীতে বাংলা সাহিত্য তিনি সমৃদ্ধি করে চলেছেন। ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণকারী এই সাহিত্যিক যদি আটাশ বছর বয়সে আত্মহত্যা করতেন, তবে ১৯৮৫ সালে শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্য বিদ্যাসাগর পুরষ্কার, ১৯৭৩ ও ১৯৯০সালে আনন্দ পুরষ্কার, ১৯৮৮ সালে সাহিত্য একাডেমি পুরষ্কার কিংবা ২০১২ সালে বঙ্গবিভূষণ লাভ করেছেন, সেটা কি সম্ভব হত?